সমাজের কুৎসিত প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠছে ‘নিম ফুলের মধু’ সিরিয়ালে! সৃজনের মায়ের প্রতি ক্ষুব্ধ দর্শক

অগ্রহায়ণ মাস মানেই বিয়ের মরসুমে। বিয়ের মরসুমে সেজে উঠেছে, গ্রাম থেকে শহর, পাড়া থেকে ঘর। সবাই যখন সেজে উঠছে, তাহলে বাদ যাবে কেন টলিপাড়া। আর

Saranna

netizens angry on neem phuler modhu serial story

অগ্রহায়ণ মাস মানেই বিয়ের মরসুমে। বিয়ের মরসুমে সেজে উঠেছে, গ্রাম থেকে শহর, পাড়া থেকে ঘর। সবাই যখন সেজে উঠছে, তাহলে বাদ যাবে কেন টলিপাড়া। আর তাই টলিপাড়াও মাতল বিয়ের মরসুমে। ইতিমধ্যেই জি বাংলায় এসেছে নতুন ধারাবাহিক। ‘সোহাগ জল’ এবং ‘নিম ফুলের মধু’ এই দুই নতুন ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে বিয়ের মরসুম।

বর্তমানে দুটোতেই চলছে বৌভাত পর্ব। কিন্তু একটা ধারাবাহিকের বৌভাত পর্ব দেখে ক্ষুব্ধ হলেন নেটিজেনরা। যারা শুরু থেকেই ‘নিম ফুলের মধু’ (Neem Phuler Modhu) ধারাবাহিক দেখছেন তারা জানেন, ধারাবাহিকের শুরু থেকেই একটা মনোমালিন্য, গন্ডগোলের ব্যাপার রয়েছে। পর্ণার নতুন বিয়ে হয়, একান্নবর্তী পরিবারে। কিন্তু সেই পরিবারে গিয়ে পর্ণা নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু তার শাশুড়ি তাকে মেনে নিতে পারছে না।

netizens angry on neem phuler modhu serial

তাই বৌভাতের দিনেও নতুন বৌয়ের চোখ দিয়ে ঝড়ে পড়ল বেদনাশ্রু। বিয়ের সমস্ত আচার আচরণে নতুন বৌকে হেনস্থা করার ঘটনা দেখা গেল। ল্যাটা মাছের বদলে শিঙি মাছ রাখা হয়, যাতে নতুন বৌ যন্ত্রণায় ছটকাতে থাকে। শুধু তাই নয়, বৌভাতের রাতে ঘর ভর্তি আত্মীয় স্বজন, বাবা-মায়ের সামনে অপমান করতেও দেখা গেল।

সবসময় সবকিছুতেই পর্ণাকে অপদস্থ করার চিত্র ফুটে ওঠে। আর এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠল ট্রোল। এক অনুরাগী সৃজনের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘শুধু মায়ের কথা শোনে, দজ্জাল শাশুড়ি আর ভেড়া ছেলে’। আর এক নেট নাগরিক লিখেছেন, ‘এতো হিংসা কেন দেখান? চারিদিকে এতো হিংসা , ভালো কিছু লিখতে পারেন না?

neem phuler modhu serial

সন্ধ্যা বেলায় এতো বাজে জিনিস দেখিয়ে সকলের সন্ধ্যাটা নষ্ট করবেন না’। আর এক নেটিজেন বলছেন, ‘এখন সবাই বলে যৌথ পরিবার ভেঙে যাচ্ছে। সিরিয়াল এ যদি যৌথ পরিবারে এত কুট কচালি দেখানো হয় তাহলে কোন মেয়ের বাবা মা যৌথ পরিবারে বিয়ে দেবে। যৌথ পরিবারের ভালো কিছু তো আছে সেটা দেখানো যায় না। প্রথম থেকেই কূটকচালি। বিরক্তিকর সব চরিত্র’।

আরও দেখতে পারেন