বেড়েছে ওজন, মুখে স্পষ্ট বলিরেখা! সেরা অভিনয় সত্ত্বেও কটাক্ষের শিকার পর্দার ‘অনুপমা’

হিন্দি টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন, রূপালী গঙ্গোপাধ্যায় (Rupali Ganguly)। যাকে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, হিন্দি সিরিয়াল ‘অনুপমা’ (Anupama) তে মুখ্য ভূমিকায়। এই ধারাবাহিকটি হিন্দি

Saranna

actress rupali ganguly faced criticism for her body when she became a mother

হিন্দি টেলিভিশন জগতের জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী হলেন, রূপালী গঙ্গোপাধ্যায় (Rupali Ganguly)। যাকে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, হিন্দি সিরিয়াল ‘অনুপমা’ (Anupama) তে মুখ্য ভূমিকায়। এই ধারাবাহিকটি হিন্দি টেলিভিশন দুনিয়ায় বেশ জনপ্রিয়। বাংলার শ্রীময়ী ধারাবাহিকের রিমেক এটি। ধারাবাহিক যেমন জনপ্রিয়, অভিনেত্রীও বেশ জনপ্রিয়। তাঁর কেরিয়ারের সাফল্যতার জন্যই এই জনপ্রিয়তা।

এর আগে অভিনেত্রীকে দেখা গেছে, ড. সিমরান, মনীষা সারাভাই এবং পিঙ্কির মতো আইকনিক চরিত্রে। অভিনেত্রী জনপ্রিয় হলেও, তাঁকে একসময় পড়তে হয়েছে বডি শেমিংয়ে। তাঁর সন্তান জন্মাবার পর রাস্তায়  বের হলেই পড়তে হত কটাক্ষের মুখে। যাদেরকে তিনি চিনতেন না, তারাও কটাক্ষ করত অভিনেত্রীকে দেখে। কিন্তু কী কারণে হঠাৎ তিনি এমন মোটা হলেন? কটাক্ষের মুখে কেনই বা পড়তে হল?

actress rupali ganguly faced criticism for her body

তিনি জানিয়েছেন, ব্রেস্ট মিল্কের সমস্যার জন্য মিল্কের জোগান দিতে, প্রয়োজনের থেকেও বেশি খাবার খেতে থাকেন, আর সেই কারণেই বেড়ে গিয়েছিল ওজন। ছেলে রূদ্রাংশের জন্মের সময় ওজন ছিল ৫৮, কিন্তু জন্মাবার পর ওজন হয়ে যায়, ৮৬ কেজি । যখন রাস্তায় বের হতেন, তখন অচেনা কয়েকজন তাঁকে ধারাবাহিকের চরিত্রের নামে ডেকে সম্বোধন করত এবং বলত, কত ওজন বেড়ে গিয়েছে।

এমনকি অনেকেই তাঁকে বলত, মুখে বলিরেখা দেখা যাচ্ছে। সেইসময় মানসিক ভাবে ভেঙে পরেছিলেন তিনি। তখন মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেও, এখন বেশ শক্তিশালী। তিনি মেনে নিয়েছেন এটা। তিনি যেমন রয়েছেন তেমন ভাবেই থাকতে চান। অভিনেত্রী মনে করেন সমস্ত মহিলাকে এরকম প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়, আর তাই তাদের উদ্দেশ্যে জানান , ‘ সকলকে যোগ্য জবাব দিতে শিখুন’।

rupali ganguly faced criticism for her body when she became a mother

উল্লেখ্য, ২০১৩ তে তিনি বিয়ে করেন বিখ্যাত ব্যবসায়ী অশ্বীন বর্মাকে। এরপর ২০১৫ তে জন্ম হয় রুদ্রাংশের। ছেলেকে তিনি দেখাশোনা করতে পারেননা, খুবই ব্যস্ত থাকেন শ্যুটিং এর কাজে। আর তাই ছেলের দায়িত্ব পু্রোটাই পালন করেন, তাঁর স্বামী। তিনি এ বিষয়ে খুব গর্বিত। ভাগ্য করে এমন স্বামী পেয়েছেন বলে।

আরও দেখতে পারেন