‘যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানে থাকি না’, স্পষ্ট জবাব ‘শিমুলের শাশুড়ি’র

Rita Dutta Chakraborty : বাংলার জনপ্রিয় দক্ষ একজন অভিনেত্রী হলেন রীতা দত্ত চক্রবর্তী (Rita Dutta Chakraborty)। বর্তমানে অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয়

Saranna

rita dutta chakraborty say about her point of view about acting

Rita Dutta Chakraborty : বাংলার জনপ্রিয় দক্ষ একজন অভিনেত্রী হলেন রীতা দত্ত চক্রবর্তী (Rita Dutta Chakraborty)। বর্তমানে অভিনেত্রীকে দেখা যাচ্ছে জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Katha)য় শিমুলের শাশুড়ি মধুবালার চরিত্রে। ধারাবাহিক যখন শুরু হয়, তখন মধুবালা চরিত্রে ছিল একটা নেগেটিভ শেড, খুবই নেগেটিভ শেড, যা দেখে দর্শকরা কটাক্ষ করেছিল। কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে পজিটিভের আভাস।

তিনি এই চরিত্রের জন্য সমালোচনার মুখে পড়েছেন। নেগেটিভ চরিত্রের সার্থকতা তো এখানেই। যত চরিত্র নিয়ে সমালোচনা হবে, ততই তো নিঁখুত চরিত্র হিসেবে বোঝা যাবে। এই চরিত্র নিয়ে যেমন আনন্দ পান, তেমনই এই চরিত্র নিয়ে কষ্টও পান। কারণ এতদিন তিনি অনেক নেগেটিভ চরিত্র করেছেন, এই চরিত্রের মতো এত ভারময়ী চরিত্র এর আগে কখনো করেননি। 

kar kache koi moner kotha serial shimul said infront her mother in law about parag's behaviour to her

একটা অভিনেতা শুধুমাত্র স্ক্রিপ্ট পড়ে অভিনয় করে দিল তা কিন্তু খাঁটি অভিনেতার অভিনয় নয়, একজন খাঁটি অভিনেতাকে ঢুকতে হয় চরিত্রের গভীরে। তবেই সে চরিত্রের সার্থকতা। আর তাই অভিনেত্রী যখন এই চরিত্রে অভিনয় করেন তখন চরিত্রের গভীরে ঢুকে যান। সেখান থেকে বেরোতে পারেননা। শিমুলের সাথে যখন অত্যাচারের রোল করেন, তখন খুবই কষ্ট হয়। 

এই চরিত্র যতই খারাপ হোক না কেন, বাস্তবে এই রকম চরিত্র অনেক রয়েছে। সেই চরিত্রকে সকলের সামনে তুলে ধরছে এই ধারাবাহিক। কেন মধুবালা চরিত্রটি এতটা খারাপ? এই চরিত্রের পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ। যখন মধুবালা নতুন বউ হয়ে আসে, তখন তার শাশুড়ি-ননদরাও তার সাথে এমন ব্যবহার করেন। সেই থেকেই অনেক না পাওয়া ছিল। আর সেখান থেকেই নিজের ছেলের বউয়ের সাথেও সেটাই করে চলেছেন।

পর্দায় নেগেটিভ হলেও সিরিয়াল সেটে বেশ খোলামেলা তিনি। সবার সাথে অভিনয় করাটা তার কাছে খেলা বলে মনে হয়। ছোটোপর্দা তাঁর কাছে ঘরবাড়ি বলে মনে হলেও, ইচ্ছে আছে ওটিটিতে কাজ করার। কিন্তু তিনি কারোর থেকে কাজ চাইতে পারেননা, কোনো জায়গায় যদি মনে হয় তাঁর প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন হলে সেখান থেকে বেড়িয়ে চলে যান, বিন্দুমাত্র দ্বিধাবোধ করেননা। 

আরও দেখতে পারেন