Neem Phooler Madhu : জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় সিরিয়াল এখন ‘নিম ফুলের মধু’। সম্প্রতি, ধারাবাহিকে চলছে ধুন্ধুমার পর্ব। এই সিরিয়াল শুরু থেকেই জমজমাট। একের পর এক নতুন গল্প দেখিয়ে বারেবারে জিতেছে দর্শকদের মন। বর্তমানে পর্ণা স্মৃতিশক্তি হারিয়েছে। তার কাছে গোটা দত্ত বাড়িটা অচেনা। কিন্তু পর্ণা স্মৃতি হারালেও মানুষের স্বভাব কি আর পাল্টায়?
তাই পর্ণা নিজের চিরাচরিত স্বভাববশত দত্ত বাড়ির কাউকে না চিনেও তাদের আপন করে নিয়েছে। তাদের প্রত্যেক বিপদে পর্ণা ঝাঁপিয়ে পড়েছে। কৃষ্ণা নিজের জেদের কারণে একপ্রকার জোর করেই বর্ষার বিয়েটা দিয়েছিল অর্ণবের সাথে। কিন্তু মেয়ের উপর গুরুতর বিপদ ঘনিয়ে না আসা পর্যন্ত সে বুঝতেই পারেনি তার মেয়ে কতটা সহ্য করছে।
অর্ণব বর্ষাকে একপ্রকার মেরে ফেলার ব্যবস্থাই করে ফেলেছিল। কিন্তু পর্ণা থাকতে এমনতর কি করে সম্ভব? তাই পর্ণা ঠিক নিজের বুদ্ধি আর সাহসকে কাজে লাগিয়ে বর্ষাকে আবার তার বাড়িতে ফিরিয়ে এনেছে। শুধু তাই নয়, অর্ণবকেও পালিয়ে যেতে দেয়নি সে। শাস্তি দিয়ে ছেড়েছে। তবে একজনকেই এখনও শাস্তি দিয়ে উঠতে পারেনি পর্ণা সে হল ইশা।
যে এই সমস্ত কিছুর পিছনে ছড়ি ঘুরিয়ে চলেছে। ইশা অর্ণব জেলে যাওয়ার পরেও ক্ষান্ত হয়নি। বরং অয়ন আর মৌমিতার সাহায্যে বর্ষাকে বদনাম করতে উঠেপড়ে লেগেছে। যাতে কৃষ্ণা আবার পর্ণাকে ভুল বোঝে। যদিও এই ঘটনা বাস্তব সমাজের এক কঠিন সত্য বলা চলে। দিনশেষে সব কিছুর দায় মেয়েদের উপরই সবার আগে আসে। সত্যতা যাচাইয়ের প্রয়োজন পড়েনা।
কিন্তু পর্ণা বর্ষার এই বদনাম, অপমান সহ্য করে নেয়নি। সে সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু যখন তারপরেও সকলে অন্যায় ভাবে বর্ষার দিকেই আঙ্গুল তুলে ব্যাঁকা কথা বলছিল, সেটা আর সহ্য করতে পারেনি পর্ণা। যারা সমাজের ভালো মানুষের মুখোশের আড়ালে বর্ষার গায়ে কালি ছেটাচ্ছিল। তাদেরই একজনের কুকীর্তি পর্ণা সকলের সামনে তুলে ধরে। পর্ণার এই কাণ্ডে হতবাক হয়ে যায় সকলেই।