চাঁদনীকে ভুলে মৌয়ের প্রতি নরম হল ডোডো! ‘মেয়েবেলা’য় এবার গল্পের নতুন মোড়

স্টার জলসার (Star Jalsha) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল, ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। এই ধারাবাহিকটি দর্শকমহলে বেশ প্রশংসা পেয়েছে, কারণ ধারাবাহিকে শুধুমাত্র মেয়েদের কাহিনীর উপরেই আলোকপাত করা হয়।

Saranna

dodo slowly try to accept mou as his wife

স্টার জলসার (Star Jalsha) একটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক হল, ‘মেয়েবেলা’ (Meyebela)। এই ধারাবাহিকটি দর্শকমহলে বেশ প্রশংসা পেয়েছে, কারণ ধারাবাহিকে শুধুমাত্র মেয়েদের কাহিনীর উপরেই আলোকপাত করা হয়। একটা মেয়ে বিয়ের আগে কেমন থাকে, বিয়ের পরে একটা মেয়ে কেমন থাকে, বিয়ের পরে একটা মেয়ের জীবন কতটা বদলে যায় সবটাই এই ধারাবাহিকে ফুটে উঠেছে।

মৌ খুব ভালো একটা মেয়ে, খুবই শান্ত দরদী একটা মেয়ে। ভাগ্যক্রমে বিয়ে হয় তাঁর। ডোডো তাঁর নিজের ভালোবাসাকে ফেলে রেখে বাধ্য হয়ে মৌকে বিয়ে করে। এর জন্য মৌ কে অনেক কথা শুনতে হয় মিত্র বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে। এখনও পর্যন্ত শুনতে হচ্ছে। কারোর থেকে একটুও সহানুভূতি পায়না। তাঁর শাশুড়ি বীথিও তাঁকে সহ্য করতে পারতনা।

meyebela serial new promo

তবে সম্প্রতি দেখা গেছে মৌয়ের প্রতি ডোডোর মন একটু হলেও নরম হয়েছে। মৌ তাড়াহুড়ো করে যেতে গিয়ে সিঁড়িতে পা মুচকে পড়ে যায়। মৌয়ের পায়ে সেক দেয় টিকলি। টিকলি মৌকে বলে শাড়ি না পড়ে যেতে। পাশাপাশি ডোডোও তাঁকে বলে সালোয়ার পড়ে যেতে। ডোডো জানায়, বিয়ে বাড়ি বা অনুষ্ঠান বাড়িতে শাড়ি পড়ুক, তাড়াহুড়োয় কোনো দরকার নেই।

কিন্তু আম্মা অমত জানায়। মিত্র বাড়ির বউরা শাড়ি ছাড়া অন্য কিছু পড়ে বাইরে যায়না। আম্মার কথারও বিরোধিতা করে ডোডো। ডোডো আম্মাকে বলে, এসব নিয়ম ইমপর্টেন্ট নাকি একটা মানুষের জীবন ইমপর্টেন্ট। আজ যদি মৌয়ের রাস্তায় কোনো অ্যাক্সিডেন্ট হয় তাহলে কি হবে? মৌয়ের এই শাড়ি পড়ে ইউনিভার্সিটি যাওয়াটা আমার খুব রিস্কি লাগছে। এর থেকেই দর্শকদের অনুমান।

হয়ত মৌকে ভালোবাসতে শুরু করেছে ডোডো। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেয়েবেলা ধারাবাহিক আবারও প্রশংসা পেয়েছে, ‘মেয়েবেলা ধারাবাহিকে একটা জিনিস লক্ষ্য করা গেছে যে কোনো সামাজিক Issue নিয়ে-ই কথা বলুক না কেনো তার প্রেসেন্টেশন খুব সুন্দর হয় কোথাও কোনো তাড়াহুড়ো বা হড়বড় করা নেই-ধীরে ধীরে ক্ষেত্র প্রস্তুত করে তারপর সে ইসু নিয়ে প্রসঙ্গ উত্থাপন হয় তারপর সেটা সমাধানের দিকে এগোয়’।

আরও দেখতে পারেন