স্ত্রীর প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হতে দেবেনা, বন্ধুদের পাশে নিয়ে শুরু শিমুলের নতুন লড়াই

Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় এবং অন্যধরনের একটি ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’। ধারাবাহিকে যখন শুরু হয়,

Saranna

kar kache koi moner katha serial shimul fights for sucharita

Kar Kache Koi Moner Katha : জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় এবং অন্যধরনের একটি ধারাবাহিক হল ‘কার কাছে কই মনের কথা’। ধারাবাহিকে যখন শুরু হয়, তখন দেখেছি ধারাবাহিকের কেন্দ্রে ছিল চারজন নারী। চারজন নারীর মধ্যে শিমুলের কাহিনীই প্রধান ছিল, এবার শিমুলের পাশাপাশি দেখা মিলল চার নারীর মধ্যেকার আর এক নারী সুচরিতার করুণ কাহিনী।

ধারাবাহিকের কাহিনী অনুযায়ী দেখা গেছে, সুচরিতার স্বামী ইন্দ্র অনেক দিন ধরেই কর্কট রোগে আক্রান্ত। তাই সে তার প্রেমিকার কাছ থেকে চলে এসে সুচরিতার কাছে ছিল। স্বামী তার সাথে প্রতারণা করলেও, স্বামীর সেসব কথা মনে না রেখে সুচরিতা বিপদের সময় স্বামীর পাশে থেকেছে। যতটা সম্ভব স্বামীর সেবা শুশ্রূষা করেছে। কিন্তু শেষপর্যন্ত আর শেষ রক্ষা হল না।

kar kache koi moner katha serial shimul sirsha and bipasha stand for sucharita

সুচরিতার স্বামী মারা যায়। এই মারা যাওয়ার জন্য সকলেই দোষারোপ করছে সুচরিতাকে। সুচরিতার শাশুড়ি, জা, দেওর সকলেই সুচরিতাকে দোষ দিচ্ছে, যতদিন ইন্দ্র তার প্রেমিকার কাছে ছিল, ততদিন ইন্দ্র ভালো ছিল, সুস্থ ছিল। কিন্তু এই সুচরিতার কাছে আসতেই সুচরিতার অযত্নে সে মারা গেছে। এমনকি সুচরিতাকে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যেতে বলে। এরপর সেখানে উপস্থিত হয় ইন্দ্রর সেই প্রেমিকা।

সেও অনেক কথা শোনায় সুচরিতাকে। সুচরিতার শ্বশুর জানিয়ে দেয়, যতদিন ইন্দ্র বেঁচে ছিল ততদিন তোমার আর তোমার মেয়ের সব দায়দায়িত্ব আমার ছিল। এখন সে নেই, আর আমরা তোমার দায়দায়িত্ব নিতে পারব না । বড় ছেলের কাজ শেষ হলে তুমি মালপত্র নিয়ে বিদায় নেবে। বিপাশা প্রতিবাদ করে এই কথার। আমরা থাকতে সুচরিতাকে বাড়ি থেকে বার করে দিতে পারবেন না।

kar kache koi moner katha serial shimul sirsha and bipasha stand for sucharita and her daughter

এরপর ইন্দ্রর প্রেমিকা ইন্দ্রর পপার্টি নিয়ে কথা তোলে , সুচরিতা জানায়, আমি তোমাদের দয়ার দান নেব না, যদি নিতেই হয়, তাহলে মেয়ে ওর অধিকারে নেবে। শিমুল সুচরিতাকে বলে, ‘তুমি যে এত বছর এ বাড়িতে থাকলে তোমার কি কোনো দাম নেই। তোমার বাচ্চা আছে ওর বাবার সব থাকতে তোমার মেয়ে কেন ভিখারীর মতো মানুষ হবে। কেন তুমি অন্যের কাছে ভিক্ষা চেয়ে তোমার মেয়েকে মানুষ করবে। একদম না। তুমি কিছু ছাড়বে না।’

আরও দেখতে পারেন