শিমুলকে বাঁচাতে সাক্ষী দিল স্কুলের হেড স্যার, ফাঁস ‘পরাগে’র জেলে যাওয়ার ধামাকা পর্ব!

Kar Kache Koi Moner Katha : শিমুলকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই ফাঁদে পড়ল পরাগ, কোর্টে ফাঁস হল তার কীর্তিকলাপ

Saranna

kar kache koi moner katha serial truth revel in court

জি বাংলার (Zee Bangla) জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কার কাছে কই মনের কথা’(Kar Kache Koi Moner Katha)র পরতে পরতে রয়েছে চমক। এই ধারাবাহিকে বাইরের কোনো মানুষ শত্রু নয়, নিজের ঘরের লোকেরাই শত্রু। ঘর শত্রু বিভীষণ। গল্পের নায়িকা শিমুল। এই শিমুলের স্বামী পরাগ। যে কিনা গল্পের নায়ক। সেই গল্পের নায়কই হচ্ছে ভিলেন। বারবার সে কোনো না কোনো ভাবে ছাড়া পেয়ে যায়, এবার আর তা হচ্ছে না। তার দোষ -গুণ বিচার করবার ভার রয়েছে আদালতের হাতে।

ধারাবাহিক যারা দেখেন তারা জানেনই, শিমুলের গায়ে কাদা ছেটানোর জন্য প্রথম থেকেই সদা প্রস্তুত পরাগ, পলাশ, প্রতীক্ষা। ঘরের আপনজন গুলো সবসময় তার ক্ষতি চেয়ে এসেছে। আর তাই শিমুলকে মিথ্যা ফাঁসিয়ে জেলে ঢোকানো হয়। সে তো নির্দোষ। তাকে নির্দোষ প্রমাণিত করার জন্য তার পাশে সবসময় রয়েছে প্রতিবেশী বন্ধু এবং শতদ্রু।

kar kache koi moner katha serial shimul speak the truth in court

তারা তার জন্য মামলা লড়ে। এদিনের পর্বে দেখা যায়, শিমুলকে নির্দোষ প্রমাণিত করতে আদালতে কিছু প্রমাণ পেশ করা হয়। আদালতে এসে উপস্থিত হন পরাগের স্কুলের হেড টিচার। তিনি জানান, পরাগ একজন ব্যক্তিত্বহীন মানুষ। স্কুলের কোনো প্রোগ্রামে কোনোরকম সহযোগিতা করেনি। কারণ অর্থের প্রতি প্রেম ছিল। ছাত্রছাত্রীরাও অতটা পছন্দ করেন না।

আরও পড়ুনঃ বিয়ের আগেই সব শেষ, রূপের সাহায্যে মেঘকে গুলি করল ময়ূরী! ফাঁস টানটান পর্ব

এরপরই তিনি জানান, পরাগ ব্যানার্জী তার স্ত্রীর সাথে এমন আচরণ করেছিল, যার জন্য সে আমার স্কুলে আসতে বাধ্য হয়েছিল। এছাড়াও তিনি জানান, প্রিয়াঙ্কার কথা। শিমুল থাকা সত্ত্বেও প্রিয়াঙ্কা নামের এক ছাত্রীর সাথে অবান্তর মেলামেশা করেছে। এই কাজ শিক্ষক হিসেবে অনৈতিক। এরপর শিমুলের উকিল আদালতে একটি রেকর্ডিং পেশ করেন।

kar kache koi moner katha serial parag's truth revel in court

যে রেকর্ডিংয়ে রয়েছে শিমুলকে বিষ খাওয়ানোর স্বীকারোক্তি। রেকর্ডিংয়ে শোনা যাচ্ছে, পরাগ বলছে, তুমি তো আমাকে বাঁচিয়ে দিলে শিমুল। নাহলে কি যে হয়ে যেতে পারত পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যেতে পারত, চাকরিটা আমার চলে যেতে পারত। এই রেকর্ড শুনে পরাগদের উকিল অনির্বাণ চিৎকার করতে থাকে। বিচারক জানিয়ে দেন পরবর্তী শুনানিতে আবার বিচার হবে।

আরও দেখতে পারেন