আমরা সবসময় শুনতে পাই একটা কথা, ধারাবাহিক মানেই কূটকাচালী, পরকীয়া। এতে শিক্ষণীয় কিছু নেই। তাই অনেকেই ধারাবাহিক দেখার বিরোধিতা করেন। ধারাবাহিক নিয়ে ট্রোল , সমালোচনা করতে দেখা যায়। কিন্তু কিছু কিছু ধারাবাহিক আছে, সেগুলো এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, তাদের কিছু কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়। এইসব ভাইরাল ধারাবাহিকের কিছু কিছু এপিসোডে কিন্তু শিক্ষণীয় বিষয়ও লক্ষ্য করা যায়।
সম্প্রতি একটা ধারাবাহিকে শিক্ষণীয় এবং সমাজকে আধুনিক মনস্ক করার এপিসোডের দেখা মিলল। আমরা দেখেছি, স্টার জলসায় এসেছে একের পর এক নিত্য নতুন ধারাবাহিক। তারই মধ্যে অন্যতম একটি ধারাবাহিক হল ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ (Haragouri Pice Hotel)। সবেমাত্র শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক। যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তর প্রযোজনায় এটি তৈরি।
শঙ্কর আর ঐশানীর জীবনের গল্প রয়েছে এই ধারাবাহিকে। ঐশানী একজন বড়লোক বাড়ির মেয়ে, সোনার চামচ মুখে দিয়ে জন্ম তার। আর এই ঐশানীর বিয়ে হয়, শঙ্করের সাথে। তাদের একান্নবর্তী পরিবার। এই শঙ্করের জীবন আবর্তিত হয় ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’ ঘিরে। সে এই হোটেল চালায়। সমাজের উচ্চ বিত্ত মেয়ে ঐশানীর সাথেই মধ্যবিত্ত শঙ্করের দাম্পত্য সম্পর্ক।
এটা হল কাহিনীর মূল বিষয়। বর্তমানে অনেক কিছুই ঘটে গেছে তাদের জীবনে। সম্প্রতি এই ধারাবাহিকের একটি এপিসোড দেখা গেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ঐশানীর দিদি অন্তসত্ত্বা। তাকে ঐশানী নিয়ে আসে তার শ্বশুর বাড়িতে। শঙ্কর জানান, এখন থেকে দিদি আমাদের এখানেই থাকবে। শঙ্করের বৌদি জানান, বোনের শ্বশুর বাড়িতে এসে থাকব লোকে কি বলবে একটু চক্ষু লজ্জাও নেই।
এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে শঙ্কর জবাব দেন, আমার বাড়িতে যদি আমার ভাই বোনেরা থাকতে পারে, তাহলে স্ত্রীর দিদি কেন থাকতে পারবে না? সকলেই এই ভিডিও দেখে প্রশংসা করেছেন ধারাবাহিকের। এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘বাঃ,শঙ্করের চিন্তা ধারণা টা তো বেশ ভালো লাগলো’। আর এক অনুরাগী লিখেছেন, ‘অসাধারণ কনসেপ্ট’।